ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রেমেনচুকের একটি জনবহুল শপিং মলে আঘাত করেছে রুশ বাহিনীর ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র। হামলার সময় মলটিতে ১ হাজারেরও বেশি মানুষ ছিলেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এই তথ্য জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে হামলায় হতাহতের কোনো সংখ্যা তিনি উল্লেখ করেননি।

টেলিগ্রাম পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ‘হামলায় কতজন হতাহত হয়েছেন— তা কল্পনা করাও অসম্ভব। আসলে রাশিয়ার কাছ থেকে সৌজন্য ও মানবিকতার আশা করা বৃথা।’

ক্রেমেনচুকের মেয়র ভিতালি মেলেতস্কিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন; কিন্তু হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা দেননি তিনিও।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

সোমবার ১২৪তম দিনে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, লুহানস্ক প্রদেশের প্রধান শহর সেভেরোদনেতস্ক এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।

ক্রেমেনচুক মূলত একটি শিল্পশহর। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারের অবস্থান এই শহরে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ হামলার আগ পর্যন্ত শহরটিতে বসবাস করতেন প্রায় ২ লাখ ১৭ হাজার মানুষ।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ