ছবি: আল আরাবিয়া নিউজ

সরকারি অনুমোদন নেই- এমন প্রত্যেক হজযাত্রীকে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯১১ টাকা (১০ হাজার রিয়াল) জরিমানা গুণতে হবে সৌদি আরবে। বুধবার এক সরকারি আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি সরকারের জননিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র সামি আল শুয়াইরেখ সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ হাজিদের আটক করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে মক্কায় হাজিদের আবাস ও বিভিন্ন সড়কে টহল ও তল্লাশি শুরু করেছেন।

এছাড়া অর্থের বিনিময়ে হজ বিষয়ক বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দেওয়ায় বুধবার ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন শুয়াইরেখ।

‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোরবানিসহ হজ সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই এই গ্রেপ্তারকৃতদের উদ্দেশ্য ছিল,’ বলেন শুয়াইরেখ।

হজ ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। এই ধর্মের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ (অবশ্য পালনীয় কর্তব্য)।

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি হজেও নিষেধাজ্ঞা দেয় সৌদি সরকার। ২০২১ সালে কেবল সৌদি আরবের হাজিদের হজের অনুমতি দেওয়া হয়।

মহামারির দুই বছর পর, ২০২২ সালে বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য ফের সীমান্ত খুলে দেয় সৌদি সরকার। সরকারি আদেশ অনুযায়ী চলতি বছর ১০ লাখ বিদেশি হজযাত্রীকে হজ পালনে সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এই সংখ্যা অবশ্য মহামারিপূর্ব সময়ের তুলনায় অর্ধেক। ২০১৯ সালে, অর্থাৎ করোনা মহামারির ঠিক আগের বছরে দেশটিতে হজের জন্য প্রবেশ করেছিলেন ২০ লাখেরও বেশি বিদেশি হজযাত্রী।

এসএমডব্লিউ