দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উড়ে আসা বেলুনের মাধ্যমেই দেশে করোনা ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির অভিযোগ, সীমান্ত দিয়ে বেলুনে বেঁধে বিভিন্ন প্রচারপত্র পাঠান দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজকর্মীরা। সেগুলোর অধিকাংশ কিম জং উনের সমালোচনামূলক।

উত্তর কোরিয়া বলছে, গত এপ্রিলে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের কাছে ইফো শহরে উড়ে আসা বেলুনের সংস্পর্শে এসেছিল এক শিশু এবং ১৮ বছর বয়সী এক জওয়ান। পরে দেখা যায়, তারা দুই জনই ওমিক্রনে সংক্রমিত।

দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইফোয় সম্প্রতি বেশকিছু করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে। জ্বরের উপসর্গ রয়েছে এমন কয়েকজন ইফোর বাসিন্দা পিয়ংইয়্যাংয়েও এসেছিলেন। তাদের থেকে রাজধানীতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে কিম জং উনের প্রশাসন বেলুন বা ওই জাতীয় বস্তুর ওপর কড়া নজরদারি চালাতে এবং সেগুলোর উৎস খুঁজে বের করতে জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, কেউ কোনো ‘অজানা’ উড়ন্ত বস্তুর খবর পেলে তৎক্ষণাৎ যেন প্রশাসনকে জানান। তবে ‘অজানা’ বস্তু কী ধরনের হতে পারে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

সমাজকর্মীদের বেলুন ওড়ানোর কথা অস্বীকার না করলেও এভাবে করোনা ছড়ানোর বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক মন্ত্রী। এদিকে গত এপ্রিলে বেলুনের মাধ্যমে প্রচারপত্র পাঠানোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় এনেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

গত দুই বছর ধরে উত্তর কোরিয়া করোনাশূন্য বলে দাবি করে এসেছে কিমের প্রশাসন। এ বছর ১২ মে তারা প্রথম করোনা সংক্রমণের কথা মেনে নেয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশটির ২ কোটি ৬০ লাখের মধ্যে ৪৭ লাখ মানুষের করোনা সংক্রমণ হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের।

এমএইচএস