খাওয়ার সময় হঠাৎ ১৮ মাস বয়সী মেয়ের গলায় খাবার আটকে যায়। বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেও মেয়ের গলা থেকে খাবার বের করতে ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আদরের মেয়ে। চোখের সামনে সন্তানের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। শোক সহ্য করতে না পারে গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন এই বাবা-মা।

শনিবার ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের সাঙ্গলি জেলায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বৃহস্পতিবার সাঙ্গলি জেলার রাজেওয়াড়ি গ্রামের একটি মন্দিরের কাছে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় করণ হেঙ্গড়ে (২৮) এবং শীতল হেঙ্গড়ের (২২) দেহ পাওয়া গেছে। 

তারা একটি সুইসাইড নোটও লিখেছেন। আর এতে লেখা রয়েছে, ‘আমরা আমাদের মেয়ের কাছে চলে যাচ্ছি...।’

গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) গলায় খাবার আটকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় এই দম্পতির একমাত্র কন্যা। করণ-শীতল দম্পতির প্রতিবেশীরা বলেছেন, মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি মারা গেছে। ওইদিন সন্ধ্যায় মেয়েটির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর দু’দিন পর আত্মীয়স্বজনরা বাড়ি চলে যান।

তবে সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি করণ ও শীতল। আশপাশের কারো সাথে কথা বলতেন না তারা। এমনকি ঘর থেকেও বের হতেন না। প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভোগেন তারা।

শনিবার সকালের দিকে কয়েকজন গ্রামবাসী দেখেন, গ্রামের মন্দিরের পাশের একটি গাছে একই রশিতে ঝুলছেন করণ এবং শীতল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ বলছে, ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শিশুকন্যাকে হারিয়ে শোকাহত বাবা-মা একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। শিশুটির বাবা করণের শার্টের পকেটে পাওয়া সেই নোটে লেখা রয়েছে, আমাদের মেয়ে কাছে চলে যাচ্ছি...।

এ ঘটনায় সাঙ্গলি জেলার আটপারি থানায় একটি আত্মহত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস