ছবি: স্কাই নিউজ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার। ‍এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অনেক আগেই’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল জনসনের।

বিবৃতিতে জনসনের এই সিদ্ধান্তকে দেশের জন্য  ‘সুখবর’ উল্লেখ করে যুক্তরাাজ্যের বিরোধী নেতা আরও বলেন, ব্রিটেনের এখন প্রয়োজন ‘নতুন উদ্যমে’ সবকিছু শুরু করা।

স্যার স্টারমার বলেন, ‘টোরি দলের (কনজারভেটিভ পার্টি) সরকারের আমলে জীবনযাত্রার ব্যায় বৃদ্ধি গত কয়েক দশকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ফলে দেশজুড়ে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, দলটির বর্তমান নেতৃত্বের হাতে তার কোনো সমাধান আছে বলে মনে হয় না।’

’১২ বছর ধরে তারা ক্ষমতায় আছে। আর এই সময়সীমায় যে ক্ষয়ক্ষতি তারা করেছে, তা গভীর ও সুদূরপ্রসারী।’

‘টোরিদের সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা চাই, সরকারে একটি যথাযথ পরিবর্তন আসুক।’

নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিজ দলের মন্ত্রী এবং সদস্যদের বিদ্রোহের মুখে পড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আরও পরের দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতার পদ থেকেও তিনি অব্যাহতি নেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তবে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও আগামী শরৎকাল পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। তার ফলে চলতি গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী অক্টোবরে টরি পার্টির সম্মেলনের জন্য একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

গত দুই ঘণ্টায় জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্তত ৮ মন্ত্রী, দুই প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সরকারের অন্তত ৫০ শীর্ষ সহযোগী পদত্যাগ করায় জনসন কার্যত ‘একাকী এবং ক্ষমতাহীন’ হয়ে পড়েছেন। যে কারণে ক্ষমতাহীন জনসনের নতি স্বীকার করে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়া অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

এসএমডব্লিউ