মমতার বাড়িতে অনুপ্রবেশকারী হাফিজুল সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে অনুপ্রবেশ করে এক যুবক। ওই ঘটনায় মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মমতার বাড়িতে প্রবেশের আগে সাত থেকে আট বার রেকি করে তথ্য সংগ্রহ করেছিল অনুপ্রবেশকারী হাফিজুল। এলাকার বাচ্চাদের চকলেট, কোল্ড ড্রিংকস খাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ওই যুবক। যার প্রমাণ মিলেছে সিসিটিভি ফুটেজে।
শুধু তাই নয়, মমতার বাড়ির ছবিও তুলেছে হাফিজুল। ছবি তুলেছে কালীঘাটের আরও কিছু জায়গারও। এ নিয়ে তথ্য করছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্তে জানা গেছে, ১১টি সিম কার্ড ছিল হাফিজুলের। সিম কার্ডগুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মুম্বাই, গুজরাটে ফোন করত সে। এমনকি পূজার আগে বাংলাদেশে গিয়েছিল হাফিজুল। পূজার সময় বেআইনিভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে সে। তখন তিন দিন বাংলাদেশে ছিল সে।
বিজ্ঞাপন
মমতার বাড়িতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় সেখানকার পুলিশ প্রথমে অনুপ্রবেশের মামলা করেছিল। তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন, এটা একটা পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কারণ তদন্তে রেকিসহ নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে হাফিজুলের যোগাযোগের তথ্যও মিলেছে বলে খবর।
গত ২ জুলাই রাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে হাফিজুল। সাত থেকে আট ঘণ্টা সেখানে ছিল সে। সেদিন হাফিজুলের সঙ্গে ছিল একটি মোবাইল। যা উদ্ধার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। সেই মোবাইলেই পাওয়া গেছে কালীঘাটের বিভিন্ন জায়গার ছবি। এসব ছবি সে কোথায় কোথায় পাঠিয়েছে? এর পেছনে কি উদ্দেশ রয়েছে সেগুলোই ভাবাচ্ছে তদন্ত কর্মকর্তাদের।
বিজ্ঞাপন
এসএসএইচ