ছবি: গালফ নিউজ

ফিলিপাইনের মূল দ্বীপ লুজনের কুয়েজোন প্রদেশের মুলানার মেয়র অ্যারিস্টটল আগুইয়েরে তার পৌরসভার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অফিস চলাকালে হাসিমুখে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

কোনো কর্মী যদি হাসিমুখে না থাকেন এবং সেবা নিতে আসা জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, তাহলে সেই কর্মীকে গুণতে হবে জরিমানা। আর তা হবে ওই কর্মীর ছয় মাসের বেতনের সমান।

মেয়রের দপ্তর থেকে দেওয়া এক নির্বাহী আদেশে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এএফপিকে আগুইয়েরে জানান, পৌর ভবনে কর দেওয়া বা অন্য কোনো সেবা নিতে আসা সাধারণ লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই পৌরকর্মীদের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আসছেন।

অভিযোগকারীদের অধিকাংশই স্থানীয় নারকেল চাষী, মৎসশিকারী বা এ জাতীয় ছোটখাট পেশার সঙ্গে যুক্ত। মূল শহর থেকে বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকেও নিয়মিত বিভিন্ন কাজে আসতে হয় পৌর ভবনে।

‘পৌরভবনে আসার পর কর্মীদের অবন্ধুত্বপূর্ণ ও অনেক ক্ষেত্রে বৈরী ব্যবহার সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের হতাশ করে। তাই পৌরকর্মীদের আচরণ বদলাতেই এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পৌর ভবন চাই,’ এএফপিকে বলেন চিকিৎসক থেকে জনপ্রতিনিধি বনে যাওয়া অ্যারিস্টোটল আগুইয়েরে।

কিন্তু ফিলিপাইনে এখনও জনসমক্ষে মাস্ক পরার বিষয়ক কড়াকড়ি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো কর্মী হাসিমুখে আছেন কিনা তা কীভাবে বোঝা যাবে— এএফপির এ প্রশ্নের উত্তরে আগুইয়েরা বলেন, ‘এই আদেশে আসলে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার ধারণা, পৌর কর্মীরা এই আদেশের মর্মার্থ বুঝতে পেরেছেন।’

এসএমডব্লিউ