ছবি: ডেকান হেরাল্ড

পাকিস্তানের সংবিধানের ৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘণের অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের (টিআইপি) প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির সরকার।

ক্ষমতাসীন জোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টে আস্থা ভোট আটকে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি (ইমরান খান) সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘণ করেছিলেন কি না— তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

‘কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে যদি সংবিধান লঙ্ঘণের প্রমাণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে গুরুতর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা হবে।’

গত ৩ এপ্রিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সাধারণ পরিষদে আস্থাভোটের নির্ধারিত দিন ছিল। কিন্তু ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ পরিষদের তৎকালীণ স্পিকার কাসিম খান সুরি সেই ভোট আটকে দেন। পরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ৯ এপ্রিল আস্থাভোট হয় পার্লামেন্টে, সেই ভোটে হেরে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান।

পাকিস্তানের সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক উপায়ে সংবিধান অথবা তার কোনো ধারা/অনুচ্ছেদ বাতিল কিংবা পরিবর্তনের চেষ্টা করা বা এ বিষয়ক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়াকে উচ্চমাত্রার রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।’

 আস্থাভোট ঘিরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে উদ্ভূত সংকট নিরসনে এক পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টকেও তৎপর হতে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রায়ের পূর্ণাঙ্ক কপি প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে বিচারপতি মাজহার আলম মিয়ানখেল বলেন, ‘আস্থাভোট নিয়ে যা হলো, এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘণ করে কি না তা পার্লামেন্ট সদস্যরা খতিয়ে দেখতে পারবেন। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়, সেজন্য পার্লামেন্টের আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন।’

তার পরের দিনেই ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা বিষয়ক প্রস্তুতির বিষয়ে জানালেন মরিয়ম আওরঙ্গজেব।