ভারত সরকার কোভিড-১৯ টিকাদান রোববার ২০০ কোটির মাইলফলকে পৌঁঁছেছে। পাশাপাশি সব প্রাপ্তবয়স্কের জন্য বুস্টার ডোজ চলমান রয়েছে। আবার একই দিনে দেশটিতে নতুন করে করোনা সংক্রমণেরও রেকর্ড হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত চার মাসের মধ্যে রোববার সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

গত বছর শুরু হওয়া বিশ্বের বৃহৎ এবং দীর্ঘতম চলমান টিকাদান কর্মসূচির মাইলফলকে পৌঁছানোর প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ফের ইতিহাস গড়ল ভারত!

তবে দেশটির বিরোধীরা করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যর্থতার সমালোচনা করেন। দেশটিতে এই ভাইরাসে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। যদিও নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার ৭০৯ জনে পৌঁছেছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে মারা গেছেন অন্তত ৪৯ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২০ হাজার ৫২৮ জন।

রয়টার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারির পর ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে রোববার।

১৩৫ কোটি মানুষের এই দেশটির সরকার করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ বিধি-নিষেধ ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণও বেড়েছে।

ভারতে টিকাদান কর্মসূচিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রায় ৮০ শতাংশ টিকা ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য ভ্যাকসিনের মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা কোভ্যাক্সিন, কোর্বেভ্যাক্স এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-৫।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস