বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মাঙ্কিপক্স ভাইরাসকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শনিবার সংস্থাটি মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সহায়তা চেয়ে এই সতর্কতা জারি করেছে।

মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে ডব্লিউএইচও যা বলেছে...

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব আন্তর্জাতিক উদ্বেগ হিসেবে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করছে বলে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ডব্লিউএইচও বলেছে, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব, যা সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে— তা যথাযথ কৌশলের মাধ্যমে বন্ধ করা যেতে পারে।

চলতি বছরের এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৬০টি সদস্য দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এই ভাইরাসে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সের ৯৫ শতাংশ সংক্রমণ ছড়িয়েছে যৌনতার মাধ্যমে: গবেষণা

বৈশ্বিক এই স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সব দেশে মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় কার্যকর তথ্য ও পরিষেবার রূপরেখা তৈরি এবং বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য ভাইরাসটিকে জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করছে ডব্লিউএইচও।

বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। রোগীদের সাধারণত বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে থাকতে হবে, যাতে সংক্রমণের বিস্তার রোধ এবং সাধারণ লক্ষণগুলোর চিকিৎসা করা যায়। 

টেড্রোস বলেছেন, সংক্রমণের নতুন গতি সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেছেন, ডব্লিউএইচওর মূল্যায়নে ইউরোপীয় অঞ্চল মাঙ্কিপক্সের ‘উচ্চ’ ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউরোপ ছাড়া বিশ্বের সব অঞ্চলে মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি ‘মাঝারি’ মাত্রার বলে জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হওয়া লোকজনের মাঝে— এমন অনেক পুরুষ আছেন, যারা পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করেছেন। স্পেনের মাদ্রিদ অঞ্চলের সাউনার কয়েকটি ঘটনায় এ ধরনের শারীরিক সম্পর্কের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

ডব্লিউএইচওর এই মহাপরিচালক বলেছেন, এই ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে আরও ছড়িয়ে পড়ার ‘স্পষ্ট ঝুঁকি’ রয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভ্রমণে হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা এই মুহূর্তে কম।

মাঙ্কিপক্স কতটা প্রাণঘাতী?
মাঙ্কিপক্স কতটা উদ্বেগজনক?
মানবদেহে বিরল ‘মাঙ্কি পক্স’ ভাইরাসের সন্ধান, কী এই রোগ

এসএস