দুর্নীতির অভিযোগে শনিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার আগে প্রায় ২৭ ঘণ্টা পার্থকে তার নিজ বাসভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। 

ভারতের সংবাদ মাধ্যম ‘আজ তাক’ তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, গ্রেপ্তারের পর তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চারবার ফোন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্তও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।   

তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু লেখা হয়নি ওই প্রতিবেদনে। 

শুক্রবার সকাল ৭টায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবনে ঢুকেছিল ইডি, আর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় শনিবার সকাল ১০টায়। মাঝখানের পুরোটা সময় চলে জিজ্ঞাসাবাদ।  

ইডির মেমোতে উঠে এসেছে- রাত ২টা ১২ মিনিট, ২টা ৩১, ৩টা ৩৭ এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মমতাকে ফোন করেন তৃণমূলের মহাসচিব। কিন্তু একবারও কথা বলা সম্ভব হয়নি। আর এতেই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল?     

এদিকে চিকিৎসার জন্য সোমবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

হাসপাতাল থেকে যে প্রতিবেদন তৈরি হবে তার প্রতিলিপি তদন্ত কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার ও আইনজীবীকে দিতে হবে। তারপর বিকেল ৪টায় মামলার শুনানি হবে। একইসঙ্গে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অভিযুক্তকে হাজির করানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত। 

এনএফ