করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের উন্মুক্ত হয়েছে নিউজিল্যান্ড। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর সোমবার (১ আগস্ট) থেকে প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বের দর্শনার্থীদের জন্য নিউজিল্যান্ডের সীমানা সম্পূর্ণরূপে পুনরায় খোলা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে মহামারির কারণে দেশটির সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের জন্য নিউজিল্যান্ডের সীমানা খুলতে শুরু করে এবং এরপর সময় গড়ানোর সাথে সাথে নিষেধাজ্ঞাগুলো ধীরে ধীরে শিথিল হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, সীমানা পুনরায় খোলার প্রক্রিয়া গত রাতে শেষ হয়েছে এবং যাদের ভিসা প্রয়োজন ও যারা স্টুডেন্ট ভিসায় রয়েছে তাদেরও এখন নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিউজিল্যান্ড এখন তার বন্দরে ক্রুজ জাহাজসহ বিদেশি বিনোদনমূলক ইয়টগুলোকে নোঙর করতে দিচ্ছে।

অবশ্য নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে হলে বেশিরভাগ পর্যটককে করোনা টিকা নেওয়ার সনদ থাকার প্রয়োজন হচ্ছে এবং দেশটিতে পৌঁছানোর পরে অবশ্যই দু’টি কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। তবে কোয়ারেন্টাইনের কোনো শর্ত নেই।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন সোমবার অকল্যান্ডে চায়না বিজনেস সামিটে বক্তৃতার সময় সীমান্ত খোলার চূড়ান্ত এই পর্যায়কে একটি বিশাল মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘বাকি বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের জনগণকে নিরাপদ রাখতে আমরা বৈশ্বিক এই মহামারি মোকাবিলা করছি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে সতর্ক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়ার কাজটি আমরা বাস্তবায়ন করেছি।’

রয়টার্স বলছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে এবং শিক্ষাখাতের সঙ্গে জড়িতরা এখন আশা করছেন, সীমানা পুনরায় খোলার ফলে তা আবারও দেশের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নতিতে জোরদার ভূমিকা রাখবে।

নিউজিল্যান্ডের পর্যটন মন্ত্রী স্টুয়ার্ট ন্যাশ বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের বন্দরে ক্রুজ জাহাজসহ বিদেশি বিনোদনমূলক ইয়টগুলোর প্রত্যাবর্তন স্থানীয় শিল্পের জন্যও উৎসাহমূলক হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবর থেকে এপ্রিলের উষ্ণ মাসগুলোতে অধিকাংশ ক্রুজ ভিজিট হয়ে থাকে এবং গ্রীষ্ম আমাদের সামগ্রিকভাবে বাম্পার পর্যটন মৌসুম। এর মানে এটি শিল্পের জন্য পুরোপুরি ভালো হবে।’

টিএম