ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। নিহতদের মধ্যে ৬ জন শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে গত দুই দিন ধরে চলা বিমান হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। রোববার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস প্রশাসন পরিচালিত গাজায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। নিহতদের মধ্যে ছয় শিশুও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২০৪ জন।

তবে শনিবার ইসরায়েল দাবি করেছে যে, গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া এলাকায় একাধিক শিশুর মৃত্যুর জন্য ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসীদের রকেট দায়ী বলে তাদের কাছে ‘অকাট্য’ প্রমাণ রয়েছে।

অবশ্য জাবালিয়ার ঘটনায় কতজন শিশু নিহত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলে জানিয়েছে এএফপি। তবে এএফপি’র একজন ফটোগ্রাফার ওই এলাকার হাসপাতালে ছয়টি মৃতদেহ দেখেছেন। যার মধ্যে তিনজন নাবালক রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সতর্ক করেছে যে, ইসলামিক জিহাদের বিরুদ্ধে তাদের এই হামলা এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। তবে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, গাজায় চলমান এই সহিংসতা কমাতে উভয় পক্ষের সঙ্গে ‘চব্বিশ ঘণ্টা’ কথা বলছে কায়রো।

সর্বশেষ এসব ঘটনা গত এক বছরের মধ্যে ইসরায়েল এবং গাজার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সহিংসতা। গত বছরের মে মাসে ১১-দিনের লড়াইয়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে সহিংসতায় ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং এক ডজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন।

সর্বশেষ সংঘাতে শনিবার ইসরায়েলের শহরগুলোতে রকেট হামলার সতর্কতার সাইরেন বাজতে থাকে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি জানাচ্ছে, গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রাতভর প্রায় ২০০টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে।

তবে সেগুলোর বেশিরভাগই ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ধ্বংস করা হয়। এসব হামলায় কোনো ইসরায়েলি হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যাচ্ছে।

টিএম