ঋণের বোঝা কাঁধে বইতে পারছিলেন না এক যুবক। কিন্তু এই বোঝা কীভাবে হালকা করা যায় সেই ফন্দি আঁটতে শুরু করেন তিনি। বলা যায় সফলও হন অনেকটা। কিন্তু বোঝা হালকা করতে স্ত্রীকে মেরে ফেলায় কারাগারে যেতে হয়েছে ওই যুবককে।

ভারতের মধ্যপ্রদেশের রায়গড়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, রায়গড়ের বাসিন্দা বদ্রীপ্রাসাদ মীনা ঋণে জর্জরিত ছিলেন। কীভাবে ঋণ শোধ করবেন, ভেবে কূল পাচ্ছিলেন না। ঋণ পরিশোধের উপায় খুঁজতে ইন্টারনেটের সাহায্য নেন তিনি। অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখেন।

কয়েকটি ভিডিও দেখার পর ফন্দি আঁটেন তিনি। সেই ফন্দি আর কিছুই নয়, বরং স্ত্রীকে হত্যার ছক। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্ত্রীর নামে বিমা করেন ওই যুবক। স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিমার টাকা যাতে তিনি পান, সেলক্ষ্যেই স্ত্রীর নামে বিমা করেন বলে দাবি পুলিশের।

মধ্যপ্রদেশ পুলিশ বলছে, স্ত্রীর নামে বিমা করার পরই তার ওপর চড়াও হন বদ্রীপ্রাসাদ। গত ২৬ জুলাই রাত ৯টার দিকে স্ত্রী পূজাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পূজা।

রোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেন বদ্রীপ্রাসাদ। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে চার যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তিনি।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলই না ওই চার যুবক। এরপর এই ঘটনায় ধোঁয়াশা বাড়ে। সন্দেহের তালিকায় জায়গা পান স্বামী বদ্রীপ্রসাদ। তদন্ত যত এগোয়, ততই আসল খুনি কে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ। বদ্রীপ্রসাদ ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এসএস