আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় দেশটির প্রধান সারির একজন ধর্মীয় নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ধর্মীয় নেতার নাম শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি। তিনি আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানের সমর্থক ছিলেন।

একইসঙ্গে নারী শিক্ষার পক্ষেও ছিলেন তিনি। কৃত্রিম পায়ে লুকানো বোমার মাধ্যমে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নেতা শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানিকে লক্ষ্য করে এক ব্যক্তি কৃত্রিম প্লাস্টিকের অঙ্গে (পায়ে) লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটলে তিনি নিহত হন বলে ক্ষমতাসীন তালেবানের বেশ কয়েকটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

এদিকে আফগান এই ধর্মীয় নেতাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গোষ্ঠীটি বলছে, শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানিকে তার অফিসের মধ্যে হত্যা করা হয়। অবশ্য এর আগেও এই ধর্মীয় নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল আইএস।

আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী কাবুলে একটি ইসলামিক সেমিনারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বিবিসি বলছে, শেখ হাক্কানি ছিলেন আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের সমর্থক এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের (আইএস-কে) একজন প্রধান সমালোচক। আইএসের আঞ্চলিক এই সহযোগী গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে এবং তারা তালেবানের শাসনের বিরোধী।

গত বছর তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তানে নিহত হওয়া সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বদের একজন হচ্ছেন শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি। তালেবানের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, এটি আফগানিস্তানের জন্য খুব বড় একটি ক্ষতি। হামলার পেছনে কারা ছিল তা তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।

টিএম