আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে দিন দিন। স্থানীয় সময় গত বুধবারও দেশটির দুই প্রদেশে বন্দুকধারী ডাকাতরা পৃথক দুটি হামলা চালিয়েছে। তাতে নিহত হয়েছেন ৩৬ জন সাধারণ নাগরিক। দেশটির সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন। 

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিগত ৪৮ ঘণ্টায় এসব হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র ডাকাতরা। হামলা দুটি হয়েছে উত্তরের প্রদেশ কাদুনা ও কাতসিনায়। নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর চালানো হামলায় দুই গ্রামে ১৮ জন করে মোট ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। ঘাতকরা বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে অনেকের। তাই এসব মানুষ বাড়িঘর অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।   

নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এ রকম হামলা প্রায়শই হয়। মূলত সশস্ত্র অপরাধী চক্রগুলো এসব হামলা চালায়। শুধু হামলা নয় তারা মানুষের অর্থ-সম্পদও লুট করে। অপহরণ করে পরে মুক্তিপণও আদায় করে এসব ডাকাত। 

এসব হামলার কারণে নাইজেরিয়ায় মারাত্মক এক নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চরমপন্থী সশস্ত্র ইসলামী গোষ্ঠীগুলোকে দমনে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। এছাড়া মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশেগুলোতেও জাতিগত সহিংসতা চরমে উঠেছে। 

সহিংস পরিস্থিতির কারণে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি দীর্ঘদিনের মিত্র সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করার এক মাসের মাথায় এসব হামলার খবর আসলো। সামরিক বাহিনী এখনো উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিতৎপরতা দমন করতে পারেনি। অনেকগুলো শহর এখনো জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।    

গত সপ্তাহেও নাইজার প্রদেশে বন্দুকধারীরা শিক্ষকসহ এক স্কুলহোস্টেল থেকে ৪২ জনকে অপহরণ করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থী মারা যায়। বন্দুকধারীরা যাদের অপহরণ করে, এরমধ্যে ২৭ জনই শিক্ষার্থী। বাকিদের মধ্যে শিক্ষকসহ স্কুলটির কর্মকর্তা-কর্মচারিও রয়েছেন। 

এএস