রাশিয়ার খাদ্য বাজারে আনার জন্য জাতিসংঘ কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার খাদ্য ও সার বিশ্ববাজারে পৌঁছাতে বাধা দূর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করছে জাতিসংঘ।

শনিবার (২০ আগস্ট) তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে তিনি একথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

এদিন গুতেরেস বলেন, গত মাসে তুরস্কে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। ইতোমধ্যেই ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন শস্য এবং অন্যান্য খাদ্য রপ্তানি করা হয়েছে।

জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির অধীনে সম্প্রতি কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ওডেসার বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি আবারও শুরু হয়েছে। মূলত গত ২২ জুলাই স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বিভিন্ন গুদামে আটকে থাকা আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টার আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানোর পথ খুলে যায়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকে থাকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সেজন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আর সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও তুরস্ক।

শনিবার ইস্তাম্বুলের ওই সমন্বয় কেন্দ্রই পরিদর্শন করেন আন্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি বলেন, ‘এই প্যাকেজ চুক্তির অন্য অংশটি হলো রাশিয়ান খাদ্য এবং সারের বৈশ্বিক বাজারে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশ, যা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে যেসব দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তারা স্পষ্ট করেছে যে, আরোপিত এসব বিধিনিষেধ খাদ্য ও সারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তবুও এগুলোর রপ্তানিতে (নিষেধাজ্ঞার) একটি ‘শীতল প্রভাব’ রয়েছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকারের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, ‘জাহাজ চলাচল... বীমা ও... অর্থায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক যেসব বাধা এবং অসুবিধা আছে সেগুলো দূর করতে হবে।’

গুতেরেস বলেন, আর ওই বাধাগুলোই দূর করতে ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করছে জাতিসংঘ। তার ভাষায়, ‘ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে আরও বেশি খাদ্য ও সার পাওয়াটা পণ্যের বাজারকে আরও শান্ত করার জন্য এবং ভোক্তাদের হাতে কম দামে পণ্য তুলে দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

টিএম