ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সাদর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর রাজধানী বাগদাদে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ এবং বিমানের ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে প্রতিবেশী ইরান। একই সঙ্গে ইরাক ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে নিজ নাগরিকদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন ইরান।

সোমবার রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ায় মুকতাদা আল-সাদরের অনুসারীরা দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন। প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সাথে সংঘর্ষের পাশাপাশি বাগদাদের পার্লামেন্ট ভবনও দখলও নেন সাদরের অনুসারীরা। এই সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

এমন পরিস্থিতি মঙ্গলবার অনুসারীদের সহিংসতা বন্ধ ও সংসদ ভবনের দখল ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুকতাদা আল-সাদর। তার নির্দেশ না মানা হলে চলমান আন্দোলন থেকেও নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবেন বলে সমর্থক আল্টিমেটাম দিয়েছেন তিনি।

এর আগে, সোমবার বিক্ষোভকারীরা বাগদাদের গ্রিন জোনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পেরিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদেও ঢুকে পড়েন। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায়ও প্রায় একই ধরনের দৃশ্য দেখা যায় কয়েক সপ্তাহ আগে।

সোমবার ইরাকের বিক্ষোভকারীরাও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সুইমিংপুলে নেমে সাঁতার কাটেন এবং উল্লাস প্রকাশ করেন। পরে এই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে যায়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বছর হযরত ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদাত বা আরবাইন বার্ষিকী পালন করতে লাখ লাখ ইরানি ইরাকের কারবালায় যান। ৪০ দিনের এই বার্ষিকী এবার আগামী ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ মিরাহমাদির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, ‘ইরাকের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরানিদের ইরাক ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে।’

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, চলমান অস্থিরতার কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরাকে সব ধরনের বিমানের ফ্লাইটও বন্ধ করছে ইরান।

এসএস