উদ্ধারকারী নৌকা থেকে অভিবাসীদের নামতে সাহায্য করছে তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষীরা। ছবিটি চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্সের জেবেনিয়ানা থেকে তোলা

অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকা ডুবে গেছে। এতে অন্তত ৮ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৫ জন।

ইতালি যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

স্টেট মোনাস্টির রেডিও’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বৃহস্পতিবার তিউনিসিয়ার কাছে একটি নৌকা ডুবে অন্তত আটজন অভিবাসী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরও ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া উপকূলরক্ষীরা মাহদিয়া অঞ্চলের চেব্বা শহরে ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা ১৪ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। ডুবে যাওয়া ওই নৌকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি আরোহী বহন করা হচ্ছিল।

একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, নৌকাটি চলতি সপ্তাহে স্ফ্যাক্স অঞ্চলের এল আওয়াবেদ উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। নৌকায় থাকা অধিকাংশ অভিবাসী তিউনিসিয়ান বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

রয়টার্স বলছে, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল থেকে পালিয়ে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দিতে অভিবাসীদের কাছে স্ফ্যাক্সের উপকূলরেখা একটি প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট বা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, তিউনিসিয়ার উপকূলে বহু মানুষ ডুবে গেছে। তিউনিসিয়া এবং লিবিয়া থেকে ইতালিতে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার ঘটনাও বেড়েছে অনেক। এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।

গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছর দেশটির উপকূলীয় এলাকা থেকে ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। অন্যদিকে ২০২১ সালে অন্তত ১৫ হাজার অভিবাসী অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উপকূলে পৌঁছেছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ইউএনএইচসিআর’র পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ২০২১ সালে ১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছেন। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৯৫ হাজারের বেশি।

টিএম