২০২০ সালের সীমান্ত সংঘাত ঘিরে এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও চীনের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতির পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন উভয় দেশের সরকার প্রধান। উজবেকিস্তানের সমরকান্দ শহরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংস্থা সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজশেনের (এসসিও) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি হবেন। তবে এ দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা কোনও দেশই নিশ্চিত করেনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংস্থা এসসিওর সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সমরকান্দের উদ্দেশে দিল্লি ছাড়বেন নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এক বিবৃতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসসিওর শীর্ষ সম্মেলনে আমি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা, এসসিওর সম্প্রসারণ, সংস্থার বহুমুখীকরণ ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়ে মতামত বিনিময়ের জন্য উন্মুখ রয়েছি।

তিনি বলেছেন, সম্মেলনে বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পর্যটনের বিষয়েও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা অচলাবস্থার পর পশ্চিম হিমালয়ের প্রত্যন্ত সীমান্তের বিতর্কিত একটি এলাকা থেকে চলতি সপ্তাহে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা নিজ নিজ চৌকিতে ফিরে গেছেন। উভয় দেশের সৈন্যদের পিছু হটার পর সমরকান্দে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ভারত ও চীনের দুই সরকার প্রধান।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, শুক্রবার এসসিওর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হবে কিনা সেটি নিশ্চিত করেননি তিনি। অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শি জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠক হবে কিনা, চীনও তা নিশ্চিত করেনি।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংস্থা এসসিওর স্থায়ী সদস্য হলো চীন, ভারত, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তান।

তবে সমরকান্দে পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে রাশিয়া ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি রাশিয়ার সার বিক্রি এবং পারস্পরিক খাদ্য সরবরাহ নিয়ে তারা কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস