ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আজ জন্মদিন। নিজের জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আটটি চিতা অবমুক্ত করেছেন তিনি। চিতাগুলো নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়। 

একইসঙ্গে ‘প্রজেক্ট চিতা’রও উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। চিতাগুলো ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি সেগুলোর বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। চিতাগুলোকে বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে নামিবিয়া থেকে গোয়ালিয়রে আনা হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হয়।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজ কয়েক দশক পর চিতা দেশে ফিরে এসেছে। এজন্য আমরা নামিবিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। যাদের কল্যাণে এই অসাধ্য সাধন হয়েছে। 

তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে, ১৯৫২ সালে দেশ থেকে চিতাদের বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কয়েক দশক ধরে তাদের পুনর্বাসনের কোনো চেষ্টা করা হয়নি। আজ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে দেশ এখন নতুন শক্তিতে এগোতে শুরু করেছে। চিতাদের পুনর্বাসন আবার শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

,মোদি বলেন, যখন প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষিত থাকে, তখন আমাদের ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত থাকে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথও খুলে যায়। কুনো ন্যাশনাল পার্কে চিতা যখন আবার ছুটতে শুরু করবে, তখন এখানকার তৃণভূমির ইকোসিস্টেম আবার পুনরুদ্ধার হবে এবং জীববৈচিত্র্য বাড়বে। প্রকৃতি ও পরিবেশ, পশু-পাখি, আমাদের জন্য এটি আমাদের সংবেদনশীলতা ও আধ্যাত্মিকতার ভিত্তি।

দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, দেশবাসীকে ধৈর্য দেখাতে হবে, কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতাগুলোকে দেখতে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। আজ এ চিতারা অতিথি হয়ে এসেছে। তাদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কয়েক মাস সময় দিতে হবে। আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনেই ভারত এ চিতাদের পুনর্বাসন  ও নিরাপত্তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

অতিরিক্ত শিকার এবং বাসস্থান ধ্বংসের মতো কারণে ভারত থেকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বিড়াল প্রজাতির প্রাণী চিতা। ১৯৪৭ সালে মারা যায় ভারতের শেষ তিন চিতা। পাঁচ বছর পর ১৯৫২ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চিতাকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়।

কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে আগামী পাঁচ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হবে বলে জানা গেছে। মোদি সরকারের দাবি, ভারতের অরণ্যে হারিয়ে যাওয়া সেই চিতা ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এ পদক্ষেপ।

আরএইচ