ইউটিউবে অশ্লীল ভিডিও আপলোড করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহে দুই তরুণীকে বেধরক মারপিট করা হয়েছে। মারধরের আগে হামলাকারীরা তাদের বলেন, বাঙালি মেয়ে হয়ে তোরা এটা কীভাবে করিস! তোদের বারোটা বাজাব।  

তরুণীদের অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। গত ১২ সেপ্টেম্বর তাদের ওপর এই হামলা হয়। হামলার শিকার শ্রী ভদ্র নামে এক তরুণীর হাত ও বুকে আঘাত করা হয়। পাশাপাশি সন্নতি মিত্রের মাথায় আঘাত করা হয়। 

সন্নতি মিত্রের মাথায় আঘাত করা হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার বুক ও পায়েও আঘাত লাগে। 

•  আরও পড়ুন : ঋণ করে বিদেশ যাচ্ছিলেন, লটারিতে জিতলেন ২৫ কোটি 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টাকে সন্নতি বলেন, ২০১৭ সালে মিস ইন্ডিয়াতে অংশ নিই। তার পর থেকে আমরা মডেলিং, অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। আমাদের একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সেখানে ভিডিও আপলোডও করছি। ঠিক করেছিলাম একটি মিউজিক অ্যালবাম বের করব। গানটির নাম রসগোল্লা। ওই গানটিতে নিজেদের কনসেপ্ট ব্যবহার করে ভিডিও আপলোড করেছি। সেটি বিশাল হিটও হয়েছে। তা সেলিব্রেট করার জন্য দেপেরিয়ায় যাচ্ছিলাম। তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। সেইসময় পেছন থেকে দুটি ছেলে হেলমেট ও মাস্ক পরে এসে পেছন থেকে আমার বন্ধুকে খুব মারে। আওয়াজ শুনে পেছনে ঘুরতেই আমাকে প্রচণ্ড জোরে মাথায় আঘাত করা হয়। দুজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। বলা হয়, তোরা রসগোল্লার মতো নোংরা গান বের করেছিস? তোদের মেরে ফেলা উচিত।  

এই হামলা নিয়ে পরিচালক শতরূপা সান্যাল বলেন, এরকম নীতি পুলিসের কথা বাংলায় আগে শুনেছি বলে মনে পড়ছে না। উত্তরভারতে এসব শুনেছি। বাংলা সেই তুলনায় অনেক বেশি প্রগতিশীল। তবে আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হলো পুলিশের কাছে গেলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কীভাবে এই দুই মেয়ে নাচবে, গাইবে তা কি নীতি পুলিস বলে দেবে? সাফ কথা, এখানে এসব চলবে না। ইউটিউবে ওই গান আপলোড করা হয়েছে। যার ইচ্ছে সে দেখবে, ইচ্ছে না হলে দেখবে না। টিকটকেও রুচির বাইরে ভিডিও আপলোড করা হচ্ছিল। কোনো সমস্যা তো হয়নি।  

এনএফ