সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশের পর নতুন সৌদি নীতি ঘোষণা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার তার এই নীতি ঘোষণার কথা রয়েছে।

তবে হোয়াইট হাউস সূত্র বলছে, বাইডেনের ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরই জোর দেওয়া হবে।

খাশোগি হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সৌদি সরকারের যে ৭৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম না থাকায় বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন কতিপয় রাজনীতি বিশ্লেষক। তারা বলছেন, সৌদি যুবরাজের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল।

বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসারির পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টও, যেখানে নিয়মিত কলাম লিখতেন জামাল খাশোগি।

সমালোচনার উত্তরে গত শনিবার বাইডেন বলেছিলেন, ‘সৌদি আরবের বিষয়ে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা সোমবার ঘোষণা করা হবে।’

২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি দূতাবাসে খুন হন সৌদি রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচক এবং দেশটির নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এ ঘটনায় শুরু থেকেই অভিযোগের মুখে ছিলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সেসময় এফবিআই এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তও শুরু করেছিল; কিন্তু তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়ে যায়।

চলতি বছর ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি সেই তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশও করেছে এফবিআই। সেখানে বলা হয়েছে, খাশোগিকে জীবিত ধরে আনতে অথবা হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সোমবারের ঘোষণায় সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে নতুন কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা নাও থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর জোর দিতে চাইছেন। সোমবারের ঘোষণায় এ সম্পর্কেই কথা বলবেন তিনি।’

সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর

এসএমডব্লিউ