ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের খবর প্রচারিত হওয়ার পর তার সফরের এক দিন আগেই শর্ট রেঞ্জের দু’টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া।

বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১০ এবং ৬টা ২০ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান অঞ্চল থেকে জাপান সাগরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি ছোড়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

যে পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বুধবার ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া, সেগুলো ৩৬০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এসব উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রী কখনও বাধাগ্রস্ত হবে না, বরং উত্তর কোরিয়ায়ই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হবে।’

জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমনত্রী তোশিরো ইনো এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার এই ঘন ঘন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা কেসিএনএতে অবশ্য সাম্প্রতিক এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সংবাদ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সরকারের কোনো কর্মকর্তাও এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

এর আগে বেশ কয়েকার উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র অন্যান্য নিষ্ঠুর শক্তিদের থেকে আত্মরক্ষার্থে আধুনিক সমরাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।  

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বুধবারের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক পরিকল্পনা নেই বরং, দেশটির সঙ্গে এখনও আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক যোগাযোগ শক্তিশালী করতে ‍যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী।

এসএমডব্লিউ