ছবি : উইয়ন

জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতকে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এ সময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তা পরিষদকে আরও আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতেই পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত আমাদেরকে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এই কারণে নিরাপত্তা পরিষদকে আরও আধুনিক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।’

‘দীর্ঘদিন ধরেই ভারত নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) ইতোমধ্যেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে এ ব্যাপারটি সমর্থন করেছেন। তিনি আরও বলেছেন— কেবল ভারত নয়, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য আসন আরও বাড়ানো উচিত এবং সেসব আসনে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে সদস্যরাষ্ট্র নেওয়া উচিত।’

১৯৪৬ সালের ১৭ জানুয়ারি গঠিত হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এই পরিষদ জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্থা হিসেবেও পরিচিত। এই সংস্থা থেকে কোনো রেজল্যুশন পাস হলে জাতিসংঘের সব সদস্যরাষ্ট্র তা মেনে চলতে বাধ্য।

শুরু থেকেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা মোট ১৫টি। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন— এই ৫টি রাষ্ট্র স্থায়ী সদস্য এবং বাকি ১০টি রাষ্ট্র অস্থায়ী। অস্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রের তালিকা ২ বছর পর পর পরিবর্তন হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। এর অর্থ—পরিষদের কোনো প্রস্তাব উত্থাপনের পর স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর কোনোটি যদি সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়, সেক্ষেত্রে সেই প্রস্তাব আর পাস হয় না।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেনের পাশে উপস্থিত জয়শঙ্কর যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে চলেন, ‘ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজে সুপারিশ করেছেন, সেজন আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নির্মূলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে চাই।’

সূত্র : পিটিআই

এসএমডব্লিউ