যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়াকে ‘নিষ্ঠুর সৈরতান্ত্রিক’ দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। কোরিয়া উপদ্বীপের অস্থিরতা দূর করা ও বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল কোরিয়া প্রনালীর ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজেড) পরিদর্শন করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা দেখছি, উত্তর কোরিয়ায় দীর্ঘদিন একটি নিষ্ঠুর স্বৈরশাসন চলছে, দেশটিতে অহরহ মানবাধিকারের লঙ্ঘণ ঘটছে এবং অবৈধভাবে অস্ত্র নির্মাণ ও তার প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার হুমকি হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া।’

‘যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বিশ্ব শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্ব এমন একটি কোরিয়া দেখতে চায়, যেখানে ডিপিআরকে (উত্তর কোরিয়া) আর হুমকি হিসেবে উপস্থিত থাকবে না।’

বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই দক্ষিণ কোরিয়ায় তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।

রাজধানী সিউলে পৌঁছেই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ডিএমজেড এলাকায় যান কমলা। সেখান থেকে রাজধানীতে ফেরার পরই এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে, কমরা হ্যারিসের সফরের সংবাদ শুন বুধবারই জাপান সাগরের দিকে দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যলেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন সরকার বরাবরই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ‘নিষ্ঠুর শক্তি’ বলে অভিহিত করে থাকে।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র এবং এমন এক সময়ে কমলা হ্যারিস দেশটি সফরে গেছেন, যখন উত্তর কোরিয়া নিজেদের তৈরি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।

সিউলে কমলা হ্যারিস পৌঁছানোর আগের দিন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে কমলা হ্যারিস ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও। উভয় নেতা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ