ছবি: সিএনএন

কাবুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলায় নিহতদের অধিকাংশই মেয়ে শিক্ষার্থী। হামলার শিকার এক ছেলে শিক্ষার্থী বার্তাসংস্থা এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তবে নিহতদের মধ্যে কত জন মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে সেই তথ্য এখনও জানা যায়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই শিক্ষার্থী এএফপিকে বলে, ‘শ্রেনীকক্ষে আমরা প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী ছিলাম। অনেকেই হতাহত হয়েছে, কিন্তু নিহতদের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীরাই বেশি।’

শুক্রবার কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী হামলায় নিহত হয়েছেন ১৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। নিহতদের অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।

কাবুলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা চলছিল। দাশত-ই-বারচি কাবুলের শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকা।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান এএফপিকে বলেছেন, শুক্রবারের হামলাটি ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।

‘তবে হামলার যে ধরন, তাতে আমরা নিশ্চিত— এটি কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী (আইএস) গোষ্ঠীর কাজ,’ এএফপিকে বলেন জাদরান।

২০০১ সালে মার্কিন-ন্যাটো বাহিনীর অভিযানে ক্ষমতা হারানো তালেবানগোষ্ঠী ফের ক্ষমতায় আসীন হয় ২০২১ সালের আগস্টে। তারপর গত এক বছরে প্রতি মাসেই রাজধানী কাবুলসহ দেশটির ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে নিয়মিত বোমা হামলা হচ্ছে।

এসব হামলার অধিকাংশই হয়েছে শুক্রবার, যে দিনটি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র দিন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসান (আইএস-কে)।

আফগানিস্তানের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের ধর্মচ্যুত মনে করে আইএস-কে। গত এক বছরে দেশটিতে যত বোমা হামলা হয়েছে, সেসবের অর্ধেকেরও বেশি হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে শিয়া সম্প্রদায়কে।

তালেবান ও আইএস-কে উভয়ই কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী হলেও মতাদর্শিক ভিন্নতার কারণে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম বৈরিতা বিদ্যমান। তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানকে একটি পরিপূর্ণ ও শরিয়াভিত্তিক ইসলামিরাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

অন্যদিকে, আইএস-কের লক্ষ্য আফগানিস্তানে খিলাফত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা।

এসএমডব্লিউ