প্রতীকী ছবি

স্বামীর বেতন কত, জানতে চেয়েছিলেন স্ত্রী; কিন্তু বারবার জিজ্ঞেস করার পরও কোনো উত্তর না দেওয়ায় এবং আয়কর বিভাগ সহযোগিতা না করায় অবশেষে তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনে মামলা করেছেন এক নারী।

এবং মামলায় তিনি জিতেও গেছেন। আয়কর বিভাগকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ওই নারীকে তার স্বামীর আয়ের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিবরণ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের তথ্য কমিশন সেন্ট্রাল ইনফরমেশন এজেন্সি (সিআইসি)।

মামলাকারী ওই নারীর নাম সঞ্জু গুপ্তা। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বেরিলি জেলার বাসিন্দা তিনি।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, স্বামীর বেতন জানতে চেয়ে প্রথমে আরটিআইয়ের আওতায় আয়কর দপ্তরে আবেদন করেছিলেন সঞ্জু; কিন্তু আয়কর দপ্তর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয়, অনুমতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তির আয়ের বিবরণ অন্য কাউকে জানানো সঠিক বলে মনে দপ্তর।

আয়কর দপ্তরে বিফল হওয়ার পর ফাস্ট অ্যাপিলেট  অথরিটিতে (এফএএ) আবেদন জানান সঞ্জু। কিন্তু সেখানেও নাকচ করে দেওয়া হয় তার আবেদন।

কিন্তু পরপর দু’জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও দমে না গিয়ে শেষ পর্যন্ত সিআইসিতে আবেদন জানান। তিনি। এ বিষয়ে হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের পুরনো কিছু রায় খতিয়ে দেখার পর অবশেষে সোমবার সঞ্জুর পক্ষে রায় দেন সিআইসি।

সিআইসির পক্ষ থেকে দেওয়া আদেশে আয়কর দপ্তরকে বলা হয়, আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সঞ্জুকে তার স্বামীর বেতন জানাতে হবে। স্বামী কত বেতন পান, অন্য কোনও উৎস থেকে তার আয় আছে কি না, তাকে কত কর দিতে হয়— সিআইসির আদেশের পর এখন সব খুঁটিনাটি জানতে পারবেন সঞ্জু।

বস্তুত, বিবাহবিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির ভাগ চাইতে পারেন স্ত্রী। চাইলে স্বামীর কাছ থেকে তিনি খোরপোষও দাবি করতে পারেন। তাই সে সব ক্ষেত্রে স্বামীর আয় জানা স্ত্রীর পক্ষে প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।

সঞ্জু গুপ্তার স্বামী কেন তাকে বেতনের পরিমাণ জানাতে চাননি, তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।  

এসএমডব্লিউ