পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে কারাগারে আছেন গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, অনুব্রতের বাড়ির পরিচারকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৮ কোটি টাকার সম্পত্তিও রয়েছে ওই ব্যক্তির নামে।

কয়েকদিন আগে এ চার্জশিট দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা—সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে অনুব্রত বাড়িতে পরিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মুন। মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে অনুব্রতর বাড়িতে কাজে যোগ দেন তিনি। ১০ বছরে সেই বেতন বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার। কিন্তু এই সময়ে তার অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। 
 
এ নিয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখে মুন জানিয়েছেন, তাকে দিয়ে ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন অনুব্রত মন্ডল ও তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। অনুব্রতর নির্দেশ মতো টাকা তোলার স্লিপে সই করে দিতেন তিনি। 

সিবিআই আরও বলছে, এরকম একাধিক সাধারণ মানুষকে দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন অনুব্রত। তাদের দিয়ে আগাম টাকা তোলার স্লিপ ও চেকে সই করিয়ে রাখতেন অনুব্রত। দরকার মতো সেই স্লিপ ও চেক ব্যবহার করে টাকা তুলতেন তিনি।

মুন ছাড়াও অনুব্রতর বাড়ির বিভিন্ন কাজ দেখভাল করতেন এমন আরও একজনের অ্যাকাউন্ট থেকেও বিপুল পরিমাণ লেনদেনের সন্ধান পাওয়া গেছে।

গত আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয় মমতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অনুব্রতকে। তবে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মমতার কোনো সমর্থন পাননি অনুব্রত। 

গ্রেপ্তারের আাগে তাকে অন্তত ১০বার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দেননি। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তের অংশ হিসাবে সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা তাকে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন।  

এনএফ