নিখিল ভারত মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

ভারতে যারা হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে কথা বলছেন তাদের উদ্দেশে নিখিল ভারত মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, আপনারা বিকিনি পরুন, কে মানা করছে, আমরা কী করছি তাই নিয়ে মাথাব্যথা কেন। একদিন ভারতে কোনো হিজাব পরিহিতা প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে নিজের আশা কথা জানান তিনি।  

বহুল আলোচিত কর্ণাটকের কলেজে হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের জবাবে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, অনেকের শরীর খারাপ হয়ে যায় যখন আমি বলি যে একদিন হিজাব পরিহিতা প্রধানমন্ত্রী হবে।  

ওয়াইসি বলেন, আপনারা বলছেন যে হিজাব না পরতে। তাহলে কী পরবো? বিকিনি? আপনার সেটা পরার অধিকার আছে। আপনারা কেন চান যে আমাদের মেয়েরা হিজাব খুলে ফেলুক ও আমি দাড়ি কামিয়ে ফেলি?  

আরও পড়ুন : ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্তত ২৩ শিশুর মৃত্যু 

কিশোরী ও তরুণীদের জোর করে হিজাব পরানো হয়ে বলে অনেকের দাবি। এই প্রসঙ্গে কিছুটা ব্যঙ্গ করে ওয়াইসি বলেন, একবার হায়দরাবাদে এসে দেখুন। সবচেয়ে খারাপভাবে গাড়ি চালায় আমাদের বোনেরা। ওদের গাড়ির পেছনে গাড়ি লাগাতে যাবেন না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমি ড্রাইভারদের সতর্ক থাকতে বলি। একবার মোটরসাইকেলে ওদের পেছনে বসলে বুঝতে পারবেন। 

হিজাব বিতর্কে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়
বহুল আলোচিত কর্ণাটকের কলেজে হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের জবাবে বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিভক্ত রায় দিয়েছে।

এতে দেশটির শীর্ষ আদালতের একটি প্যানেল বলেছে, শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরার অনুমতির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিচারকরা বিভক্ত রায় দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনার জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। 

প্যানেলের দুই বিচারকের একজন শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে তার মত দিয়েছেন। অন্য বিচারক মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞা বাতিলের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : ঘোমটা, জিন্স বা হিজাব পরা নারীর অধিকার : প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরে কলেজের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেই সময় রাজ্যটির একাধিক স্কুলে হিজাব পরিহিত মুসলিম ছাত্রীদের ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। 

পরে রাজ্যের মুসলিম ছাত্রীরা সরকারের হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্ণাটকের হাইকোর্টে আবেদন করে। 

এনএফ