গত চার বছরের কম সময়ের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ইসরায়েলিরা। মঙ্গলবারের এই নির্বাচনের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এবারে নির্বাচনে নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থী দলের সফলতার সম্ভাবনা রয়েছে, যেটি জোট সরকার গঠনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছে।

গত কয়েক বছরের অচলাবস্থার পর ভোটারদের উত্তেজনা এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু উগ্রজাতীয়তাবাদী ধর্মীয় ইহুদিবাদী ব্লক এবং এর নেতা ইতামার বেন-গিভিরের প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তেজনাকর নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের অধীনে আছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তারপরও নেতানিয়াহুর ডানপন্থি লিকুদ পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শুরু হলেও গত সপ্তাহের এক জরিপে দেখা যায়, ইসরায়েলের ১২০ আসন বিশিষ্ট সংসদ নেসেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য ৬১ আসনের দরকার হলেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তা থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। যে কারণে ইসরায়েলের রাজনীতিতে জোট সংক্রান্ত কয়েক সপ্তাহব্যাপী ঝামেলার শুরু এবং নতুন নির্বাচনের শঙ্কা রয়েছে।

ক্ষমতাসীন জোট সরকারে ভাঙন দেখা দেওয়ার পর কিছুদিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এরপর শুরু হয় নির্বাচনের প্রচারণা। এবারের প্রচারণায় নিরাপত্তা এবং নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি ভোটারদের চিন্তার প্রথমসারিতে ছিল।

গত আগস্টে গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সাথে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাতের কয়েক সপ্তাহ পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স

এসএস