নিউজিল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় নর্থ আইল্যান্ডে ৭ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হওয়ার পর যে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে এরপরও বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছে দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ।  

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্য পাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার (পিটিডব্লিউসি) জানিয়েছে যে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ওই ভূমিকম্পের কারণে এখন আর সুনামির কোনো হুমকি নেই।’ 

তাৎক্ষণিকভাবে মারাত্মক কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (নিমা) সমুদ্রতীরবর্তী কিছু এলাকার বাসিন্দাকে দ্রুত উচু স্থানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। 

স্থানীয় নাগরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে সুনামির হুমকি কয়েক ঘন্টা অব্যাহত থাকবে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, উপকূলীয় কিছু নিচু অঞ্চলে এখনো বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে নিকটবর্তী শহর হচ্ছে গিসবোর্ন। শহরটির জনসংখ্যা ৩৫ হাজার ৫০০ এর মতো। কেপ রানওয়ে থেকে তোলোগা বে উপকূলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আশা করছি সেখানে সবকিছু ভালো আছে। বিশেষ করে পূর্ব উপকূলে। কেননা সেখানেই সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।’ 

প্রথমদিকে নর্থ আইল্যান্ডে সুনামির আশঙ্কা করা হলেও রাজধানী ওয়েলিংটন ও অন্যান্য অঞ্চলে কোনো সুনামির হুমকি ছিল না। তবে দেশটির নাগরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ এসব এলাকায় সুনামি না হলেও অস্বাভাবিক ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। 

দেশটির ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিওনেট জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯৪ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৩৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। জিওনেটের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ষাট হাজারের বেশি মানুষ ভূকম্পন টের পেয়েছেন।  

এএস