ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় গিয়েছিলেন ৫৮ বছর বয়সী শিপ্রা দাস

ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় গিয়েছিলেন বাংলাদেশি এক নারী। চিকিৎসা শেষে গত ৩০ অক্টোবর দেশে ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু দেশে ফেরার আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।

মৃত ওই বাংলাদেশি নারীর নাম শিপ্রা দাস। তার বয়স ৫৮ বছর এবং তিনি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতায় গিয়েছিলেন বাংলাদেশি নারী শিপ্রা দাস। চিকিৎসা শেষে গত ৩০ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও সেদিন থেকেই তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। পরে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হলে তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

বুধবার সকালে সেখানেই শিপ্রা দাস মারা যান। তার ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারের উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা শিপ্রা দাস কলকাতায় যাওয়ার পর গত দু’মাস ধরে তিনি ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার সাজিরহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে থেকেই কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

তার স্বজনরা জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডে টিউমার ধরা পড়ে শিপ্রার। আর তাই চিকিৎসা করাতে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। পরীক্ষায় দেখা যায়, ৫৮ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি নারী ক্যানসারে আক্রান্ত। সেই মতো চিকিৎসা শুরু হয়।

শিপ্রার ভাইপো দীপ দাস বলেন, ‘গত ৩০ অক্টোবর ফেরার জন্য ফ্লাইটের টিকিট করা ছিল পিসিদের। কিন্তু সে দিন সকাল থেকে পিসির তীব্র জ্বর আসে। ডেঙ্গু পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্লাটিলেট ৪৫ হাজারে নেমে গিয়েছিল।’

এরপর ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিপ্রাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ফলে শিপ্রা দাসের ক্যানসারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাতেই বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে তিনি মারা যান।

এদিকে চিকিৎসা করাতে অন্য দেশে এসে অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করছেন সকলে। দীপ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সড়কপথে বাংলাদেশে নেওয়া হবে শিপ্রা দাসের মরদেহ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এছাড়া কলকাতাসহ অন্যান্য জেলাতেও বিশেষ কয়েকটি এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে।

টিএম