রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে বলে ইরান প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে। তবে এসব ড্রোন ইউক্রেন যুদ্ধের কয়েক মাস আগে রাশিয়াকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান এই তথ্য জানিয়েছেন।

গত আট মাসের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর কয়েক মাস আগে রাশিয়াকে ‘অল্প সংখ্যক’ ড্রোন সরবরাহ করেছে তেহরান।

ইরান এখনও রাশিয়ায় ড্রোন সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ উঠলেও আমিরআব্দুল্লাহিয়ান অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ইরান ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন সরবরাহ করেছে বলে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ হইচই শুরু করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অংশটি একেবারে ভুল।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেছে, ড্রোন সরবরাহের অংশটি সত্য। ইউক্রেন যুদ্ধে কয়েক মাস আগে আমরা অল্পসংখ্যক ড্রোন রাশিয়াকে দিয়েছিলাম।

গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনে বেসামরিক অবকাঠামো বিশেষ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাঁধে ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কিয়েভ। যদিও ইউক্রেনে হামলায় ইরানের ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

গত মাসে ইরানের দু’জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও দু’জন ইরানি কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছিলেন, ইরান আরও ড্রোনের পাশাপাশি রাশিয়াকে ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সরাবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আমিরআব্দুল্লাহিয়ানের বরাত দিয়ে আইআরএনএ বলেছে, তেহরান এবং কিয়েভ দুই সপ্তাহ আগে ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ওই বৈঠকে ইউক্রেনীয়রা উপস্থিত হননি।

তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছিলাম। ওই বৈঠকে রাশিয়া ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করেছে এমন নথি আমাদের কাছে সরবরাহ করতে বলেছিলাম। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল শেষ মুহূর্তে পরিকল্পিত বৈঠক থেকে সরে যায়।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস