চীনের ঝেংঝৌ প্রদেশের বাণিজ্যিক পার্কে অবস্থিত আইফোন তৈরির কারখানার কিছু শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আর এ কারণে গ্রাহকদের নতুন আইফোন হাতে পেতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইফোনের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল।

মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঝেংঝৌ প্রদেশের বাণিজ্যিক পার্কে লকডাউন আরোপের কারণে আইফোন উৎপাদন সাময়িক ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে যে পরিমাণ নতুন আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফোন প্রো ম্যাক্সের চালান পাওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কম পাওয়া যাবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে কারাখানাটি অনেক কম জনশক্তি নিয়ে চলছে। ফলে গ্রাহকদের নতুন আইফোন হাতে পেতে আরও দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে।’

এদিকে সংবাদসংস্থা রয়টার্স অক্টোবরে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, চীনে জিরো কোভিড নীতি আরও কঠোর হওয়ায় আগামী মাসে (নভেম্বরে) বিশ্বে আইফোন উৎপাদনের পরিমাণ ৩০ শতাংশের কাছাকাছি কমে যাবে। মূলত ঝেংঝৌ প্রদেশের কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করেই এমন তথ্য জানিয়েছিল রয়টার্স। 

ঝেংঝৌ প্রদেশে অবস্থিত কারাখানাটি বিশ্বে আইফোন তৈরির সর্ববৃহৎ কারখানা। মধ্য চীনের ঝেংঝৌতে তাইওয়ানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফক্সকনের পরিচালিত আইফোনের কারখানাটিতে প্রায় ২ লাখ মানুষ কাজ করেন।

কিন্তু কঠোর কোভিড নীতির কারণে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা দেয়। নতুন করে যখন সেখানে লকডাউন আরোপ করা হয় তখন অনেককে কারাখানার কাঁটাতার ও দেওয়াল টপকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। ফক্সকনের এই কারখানাটিতে আইফোনের নতুন সব পণ্য সবচেয়ে বেশি উৎপাদন করা হয়।

এদিকে, এমন সময় আইফোন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে যে সময়টায় বড়দিনসহ বিভিন্ন উৎসব ও ছুটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বে সকল পণ্যের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো হয়। ফক্সকন জানিয়েছে, করোনা বিধি-নিষেধ মেনে উৎপাদন অব্যাহত রাখার পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।  

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

এমটিআই/এসএস