ছবি : এনডিটিভি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ইউক্রেনও নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আগ্রহী, কিন্তু সেই আগ্রহের সঙ্গে মিশে আছে বেশ খানিকটা উদ্বেগ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক বক্তব্যে তার আভাস পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদের ঐকমত্যের অনুরোধ জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে (ইউক্রেন ইস্যুতে) ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এখন আপনারা ঐক্যবদ্ধ আছেন এবং আমার অনুরোধ, যতদিন শান্তি স্থাপন না হয়, ততদিন পর্যন্ত নিজেদের এই ঐক্য ধরে রাখুন। গণতন্ত্র যখন বিজয়ের পথে, তখন তাকে থামিয়ে দেওয়া অবশ্যই উচিত হবে না।’

জেলেনস্কির উদ্বেগের অবশ্য যৌক্তিক কারণও রয়েছে। মধ্যবর্তী এই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি আসনের সবগুলোতে ও উচ্চকক্ষ সিনেটের ৩৫টি আসনে ভোট হচ্ছে।

নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি যথেষ্ট ভোট না পেলে কংগ্রেসের দুই কক্ষেরই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। সেক্ষেত্রে উভয় কক্ষই বিরোধী রিপাবলিকান দলের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তেমন হলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য কোনও কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে নতুন কোনো আইন সহজে পাস করতে গেলে বাইডেনের জন্য কংগ্রেসের দুই কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ পাওয়া জরুরি।

জেলেনস্কির উদ্বেগের মূল কারণ হলো, যদি নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক ও অর্থসাহায্য আসাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, যুদ্ধের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করলেও দেশের বর্তমান মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিতে এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমান নির্বাচনেও এ ইস্যুটি সামনে আনতে চাইছেন রিপাবলিকানরা।

রিপাবলিকান পার্টির বক্তব্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে মূল্যস্ফীতি যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে মার্কিন জনগণ আর ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে আগ্রহী নয়।

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ