ছবি : এনডিটিভি

বাতাসে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণার উপস্থিতির প্রভাবে সৃষ্ট দূষণ ও তার ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয় অন্তত ৬৭ লাখ মানুষের। কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দলের অনুসন্ধানে জানা গেছে এই তথ্য।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স অ্যাডভান্সে প্রকাশিতও হয়েছে তাদের গবেষণা প্রবন্ধটি।

বায়ুতে আনুবিক্ষণীক বস্তুকণার উপস্থিতিতে যে দূষণ ঘটে, তাকে বলা হয় ফাইন পল্যুশন পার্টিক্যালস টু পয়েন্ট ফাইভ, বা পিএম ২.৫। এর আগে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, পিএম ২.৫ দূষণজনিত কারণে প্রতি বছর বিশ্বে মৃত্যু হয় ৪২ লাখেরও বেশি মানুষের। কিন্তু ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্কট উইশেনথাল এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা সরকারি পরিসংখ্যানের পাশাপাশি প্রকৃত মৃতের সংখ্যাও অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছি; আর বায়ুদূষণের ব্যাপারটি কিন্তু থেমে নেই। প্রতিদিনই বাতাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দুষণসৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপাদান যুক্ত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে এই দূষণজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে ভুগে মৃত্যুর সংখ্যাও।’

‘যদি বাতাসে কার্বন ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণার মিশ্রনপ্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যসে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।’

পিএম ২.৫ দূষণের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন স্কট উইশেনথাল।

আন্তর্জাতিক পরিমাপ পদ্ধতি অনুযায়ী, ১ লাখ মাইক্রোগ্রাম সমান ১ গ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পিএম ২.৫ ভুক্ত বস্তুকণাগুলোর ওজন ৫ থেকে ১০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে।

‘বাতাসে মিশে থাকা পিএম ২.৫ বস্তুকণাগুলো ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা সম্পর্কেও গভীর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালানো প্রয়োজন। কারণ আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, বিভিন্ন পিএম ২.৫ বস্তুকণার মধ্যে কয়েক ধরনের কণা মানবস্বাস্থ্যের জন্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ক্ষতিকর।’

এসএমডব্লিউ