• সৌদি আরব সবচেয়ে কম মিথেন নির্গমন করে, সৌদির জ্বালানি মন্ত্রী
• ২০৬০ সালের লক্ষ্যমাত্রার আগে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামতে পারে সৌদির
• তেল, গ্যাসের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়েও কাজ করছে সৌদি

শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক হওয়ায় সৌদি আরবকে ক্রুশবিদ্ধ করার আশা করছে বিশ্ব। মিসরে জাতিসংঘের কপ২৭ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী যুবরাজ আব্দুলআজিজ বিন সালমান এই মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্বকে কার্যত এক প্রকার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেছেন, অন্যান্য দেশের পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিশ্রুতিও ঘনিষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সৌদি আরব।

পরিবেশবান্ধব জ্বালানির উৎপাদন এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের ব্যাপারে সৌদি আরব কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সেই বিষয়েও কথা বলেছেন সৌদির এই যুবরাজ। পাশাপাশি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে আব্দুলআজিজ বিন সালমান বলেছেন, ‘বিশ্ব আমাদের ক্রুশবিদ্ধ করার আশা করছে।’

কিন্তু সৌদি আরবও বাকি বিশ্বের খবর রাখবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তিনি। যুবরাজ আব্দুলআজিজ বিন সালমান বলেছেন, ‘আমরা চাই আমাদের সাথে মানুষ মিলে যাক। আমরা এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, মানুষ তাদের মুখের কাছেই অর্থ রাখুক।’

বিশ্বে মিথেন নিঃসরণ হ্রাসে সৌদি আরবের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি আরামকো যেকোনো বিবেচনায় সবচেয়ে কম মিথেন নির্গমন করেছে।

কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুলনায় কম স্থায়ী হলেও মিথেনের নির্গমন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং তেল ও গ্যাস শিল্পে উৎপাদিত মিথেনের ব্যাপারে আলোচনাই শুক্রবার কপ২৭ সম্মেলনের কেন্দ্রে ছিল।

সৌদি আরবের এই মন্ত্রী বলেছেন, আগামী ২০৬০ সালের মধ্যে মিথেন নির্গমন শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাবে সৌদি। তবে প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে এই লক্ষ্যমাত্রা তার আগেও পূরণ হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সম্ভাব্য এই সময় আরও এগিয়ে আনা যেতে পারে। তবে আমি কেবল নিশ্চিত করতে চাই, আমরা যখন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি তখন আমরা তা পূরণ করব। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই তা পূরণ করার প্রত্যাশা করছি আমরা।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস