চলতি বছর বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়া প্রায় সব শীর্ষনেতাই এ উপলক্ষে দেশটির বালিতে পৌঁছেছেন।

সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বালিতে পৌঁছেছেন। এমনকি সেখানে আলোচনার ফাঁকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে একান্তে কিছুক্ষণ কথাও বলেছেন তিনি।

জি-২০ সম্মেলনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি বারবার বলছি, আমাদের একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেনে গণতন্ত্রের পথে ফিরতে হবে। গত শতকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। সেসময়ই বিশ্ব নেতারা শান্তির জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এখন আমাদের পালা।’

নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘এখন শান্তির জন্য সমবেত প্রয়াস জরুরি। আমি আশা করি, পরের বছর জি-২০ সম্মেলন যখন বুদ্ধ ও গান্ধীর পবিত্র ভূমিতে হবে, তখন আমরা সমবেতভাবে বিশ্বকে শান্তির বাণী শোনাতে পারব।’

এবার জি-২০ জোটের চেয়ারম্যানের পদ পাবে ভারত। পরের বছর জি-২০ সম্মেলন ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। মোদি সেই কথাই বলেছেন।

এছাড়া বিশ্বের সামনে এখন যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, সেগুলোর কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেগুলো হলো- জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেন সংঘাত, করোনা এবং বিশ্বের অর্থনীতিতে তার প্রভাব। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের সব জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিটি দেশের গরিব মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। প্রতিদিনের জীবনযাপন তাদের কাছে সংগ্রামের মতো।’

ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আমাদের এটা মেনে নিতে কোনও দ্বিধা করা উচিত নয় যে, জাতিসংঘ এই সব সমস্যার মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। আর আমরা উপযুক্ত সংস্কার কর্মসূচি নিতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই বিশ্ব এখন জি-২০ জোটের দিকে তাকিয়ে আছে। জি-২০ এখন আরও প্রাসঙ্গিক হয়েছে।’

টিএম