দলে দলে দেশ ছাড়ছেন জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা। আফ্রিকার এই দেশটির স্বাস্থ্যখাতকে অনেকটা শঙ্কার মধ্যে ফেলেই তারা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীদের দেশ ছাড়ার এই সংখ্যাটি এতোটাই বেশি যে, তা অনেককে বিস্মিত করবে।

২০২১ সাল থেকে জিম্বাবুয়ে ছেড়েছেন চার হাজারেরও বেশি চিকিৎসক ও নার্স। সোমবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, জিম্বাবুয়ের বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী গত এক বছরে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য পরিষেবা বোর্ডের (এইচএসবি) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোববার জানিয়েছেন।

এইচএসবি’র চেয়ারপারসন ডা. পলিনাস সিকোসানা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে চার হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী বিদেশে চলে গেছেন। এর মধ্যে ১৭০০ জনেরও বেশি নিবন্ধিত নার্স রয়েছেন যারা গত বছর পদত্যাগ করেছেন এবং আরও ৯০০ জনেও বেশি নার্স এই বছর চাকরি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

মূলত জিম্বাবুয়েতে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। রয়টার্স বলছে, মুদ্রাস্ফীতি স্থানীয় মুদ্রাকে আরও দুর্বল করার কারণে স্বাস্থ্যকর্মীরা মার্কিন ডলারে বেতন প্রদানের দাবিতে চলতি বছরের জুন মাসে ধর্মঘটে গিয়েছিলেন।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, জিম্বাবুয়ের চিকিৎসক এবং নার্সরা মূলত ব্রিটেনে কাজ খুঁজে পাচ্ছেন। আর এটিই জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যখাতকে মারাত্মক সংকটে ফেলেছে এবং স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে কর্মী সংকট দেখা দিচ্ছে।

এছাড়া চলতি বছরের আগস্টে জিম্বাবুয়েতে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আগস্টের মাঝামাঝিতে রয়টার্স জানিয়েছিল, হামে আক্রান্ত হয়ে ১৫৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সেসময় এই রোগের প্রাদুর্ভাব এতোটাই তীব্রভাবে দেখা দেয় যে, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

বছরের ওই সময়টাতে হামের সেই প্রাদুর্ভাব জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যখাতের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল। মূলত আফ্রিকার এই দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের অভাব এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ধর্মঘটের কারণে নানা সংকটে ভুগছে।

টিএম