আট মাস পার হয়ে নয় মাসে গড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ সেনারা। আর এমন সময় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, ফুরিয়ে গেছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডার। এ কারণে এখন তারা নিজেদের পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা বলছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা এতটাই কমেছে যে, তারা এখন পরমাণু অস্ত্র সম্বলিত ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে। তবে এর আগে পরমাণু অস্ত্রটি (ওয়ারহেড) খুলে নেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়া খুব সম্ভবত পুরোনো ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র থেকে পরমাণু অস্ত্র খুলে নিয়ে সেগুলো ইউক্রেনে ছুড়ছে। ভূপাতিত করা একটি এএস-১৫ কেইএনটি ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের ছবিতে দেখা গেছে এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৯৮০ সালে পরমাণু অস্ত্র বহনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল। এটিতে থাকা পরমাণু অস্ত্রটির জায়গায় খুব সম্ভবত ব্যালাস্ট যুক্ত করা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা বিবৃতিতে আরও বলেছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর হয়ত ইউক্রেনের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কিন্তু এগুলো দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। আর পুরনো ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার দেখাচ্ছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডার কতটা ফুরিয়ে গেছে।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান চালানোর কথা বলে ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া। কথিত এ অভিযান মাত্র কয়েকদিন স্থায়ী হবে— এমনটি ধারণা করা হলেও দুই দেশের যুদ্ধ এখন নয় মাসে পা দিয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই