মধ্য আফ্রিকার জ্বালানি সম্পদসমৃদ্ধ দেশ ইকুয়েটোরিয়াল গিনির বন্দরনগরী বাটার একটি সামরিক ঘাঁটিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৪২০ জন।

বাটা শহরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রাশিয়াভিত্তিক সংবাদসংস্থা আরটি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় শহরের ওই সামরিক ঘাঁটি এলাকায় পরপর চারবার বিস্ফোরণ ঘটে। তবে কিভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল এবং কারা এজন্য দায়ী তা এখনও জানা যায়নি।

বাটার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিভিজিইসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শহরের হাসপাতালগুলো আহত রোগীতে ভরে উঠেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে।

প্রাকৃতিক গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ ইকুয়েটরিয়াল গিনির অন্যতম প্রধান শহর বাটায় প্রায় আট লাখ মানুষের বাস। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ।

১৯৬৮ সালের আগ পর্যন্ত স্পেনের একটি উপনিবেশ ছিল ইকুয়েটরিয়াল গিনি। ওই বছর দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে।  

প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও দেশটির জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক অসাম্য মধ্য আফ্রিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।  করোনা মহামারি ও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ার কারণে জাতীয় আয় হ্রাস পাওয়ায় গত বছর থেকে এই সংকট আরো প্রকট হয়েছে।

ইকুয়েটরিয়াল গিনির প্রেসিডেন্ট তিউদোরো ওবিয়াং এনগুয়েমা গত ৪২ বছর ধরে দেশ শাসন করছেন। তার ছেলে তিওদোরো এনগুয়েমা ওবিয়াং মানাগুয়ে বর্তমানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর তিনিই এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

গত বছর আগস্টে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দর এলাকার একটি শস্যগুদামে এ রকম এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৩৭ জন মারা গিয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন আরও প্রায় ৫ হাজার মানুষ। গুদামে মজুত করে রাখা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণে ঘটেছিল ওই বিস্ফোরণ।

সূত্র: আরটি, আলজাজিরা

এসএমডব্লিউ