সাধারণ মানুষদের ধূমপানে অনাগ্রহী করতে তামাক কোম্পানিগুলোকে প্রায়ই বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। নির্দেশনা অনুযায়ী, সিগারেটের মোড়কে এর ভয়াবহতা ও স্বাস্থ্য সতর্কতা উল্লেখ করে দেয় তারা। এখন জানা গেছে, ধূমপানে আগ্রহ কমিয়ে আনতে নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তামাক কোম্পানিকে এ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের বলা হয়েছে, সিগারেটগুলো এমন রঙে যেন বানানো হয় যা দেখতে ‘কুৎসিত’ লাগবে। এছাড়া সিগারেটে ফ্লেভার (বাড়তি স্বাদ) ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে কোম্পানিগুলোকে।

এর আগে সিগারেটের মোড়কে আকর্ষণীয় কোনো রঙ না ব্যবহার করতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার। এখন সরাসরি সিগারেটের রঙ পরিবর্তন করতে বলছে তারা।

২০২৫ সালের মধ্যে ধূমপায়ীর সংখ্যা ১০ ভাগে ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ ভাগ বা তার চেয়ে কমে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এখন দেখতে কুৎসিত সিগারেট বানাতে নির্দেশ দিয়েছে তারা।

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্ক বাটলার জানিয়েছেন, চাকচিক্যবিহীন সিগারেটের মোড়ক তৈরির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া আরও এগিয়ে যেতে যায়। সঙ্গে মোড়কের ভেতর থাকা সিগারেটের দিকেও নজর দিতে চান তারা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সিগারেটের মোড়কের যে ডিজাইন করা হবে সেটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকতে চান তিনি। এক্ষেত্রে কানাডাকে অনুসরণ করা হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া দেখতে কুৎসিত সিগারেট তৈরিতে কি কি করবে?

১। সিগারেটে অদ্ভুত রঙ ব্যবহার করা হবে।

২। সিগারেটের মোড়কের সঙ্গে সিগারেটের ওপরও স্বাস্থ্য নির্দেশনা লেখা হবে। যেন এগুলো দেখে মানুষের আগ্রহ কমে।

৩। সিগারেটের আকৃতি এবং আকারে পরিবর্তন আনা হবে।

৪। সিগারেটে ফ্লেভার নিষিদ্ধ করা হবে। এতে করে যেসব সিগারেটে মেনথল ব্যবহার করা হয় সেগুলো আর বাজারে থাকবে না। মেনথলের কারণে ধূমপায়ীদের সিগারেটের প্রতি আরও বেশি আগ্রহ জন্মায়। কারণ মেনথল সিগারেটের ভেতর থাকা তামাকের যে একটি বাজে স্বাদ আছে সেটি দূর করে দেয়।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এমটিআই