অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমবর্ধমান অবনতির জেরে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সুইদাতে গভর্নরের অফিসে হামলা চালিয়েছেন শত শত বিক্ষোভকারী। রোববার ওই অফিসে হামলা চালিয়ে ভবনের একাংশে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তারা। এ সময় সেখানে গুলি বিনিময়ে অন্তত একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

রোববার দ্রুজ-সংখ্যাগরিষ্ঠ সুইদা শহরের কেন্দ্রে ভবনটির চারপাশে দুই শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতের আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেন তারা। নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রীর অসহনীয় দাম বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করায় তারা এই বিক্ষোভ করছেন বলে জানিয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, দশ হাজার ‘বহিরাগত’ গভর্নরের অফিসে হামলা চালিয়ে নথি ও সরকারি বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় তিন জন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা অফিসে হামলা চালানোর আগে ভবনটি খালি করা হয়। হামলার সময় ওই ভবনে গভর্নর ছিলেন না।

দেশটির মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুওয়াইদা২৪-এর সম্পাদক রায়ান মারুফ বলেন, গভর্নরের কার্যালয়ে ভেতরের সবকিছু পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভের সময় সেখানে গুলি বিনিময়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্সকে তিনি বলেন, সুইদাতে ভারী গোলাগুলি হয়েছে। ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাঝে গুলি কারা ছুড়েছে সেটি পরিষ্কার নয়।

শহরের হাসপাতালের একটি সূত্র বলেছে, চিকিৎসাধীন একজন বেসামরিক নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া অন্য একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুলির ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

সুইদার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ভবনের ভেতরে প্রবেশের পর বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট আসাদের ছবি নামিয়ে ফেলেছেন।

এক দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় চলমান বিক্ষোভে সুইদা প্রদেশে তেমন কোনও সহিংসতা দেখা যায়নি। কিন্তু দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পরিবারের শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এই প্রদেশে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। তবে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সহিংস উপায়ে সেখানকার বিক্ষোভ দমন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

এসএস