হিমাচলের পদত্যাগকারী মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর

সদ্যই শেষ হলো ভারতের দুই রাজ্য গুজরাট ও হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে গুজরাটে ভূমিধস জয় পেলেও হিমাচলের বিধানসভা হাতছাড়া হয়ে গেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি)।

হিমাচলের বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্যসরকারের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর ইতোমধ্যে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,  গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫৭টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা, এই প্রাপ্তির মাধ্যমে নিজেদের ‘ঘাঁটি অঞ্চল’ নামে পরিচিত ভারতের এই পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে রেকর্ডভাঙা এক জয়ের পথে এগিয়ে চলছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

অন্যদিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে হিমাচলের বিধানসভার দখল পেলেও সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনের ফলাফল বলছে— এখন থেকে উত্তরাঞ্চলীয় এই রাজ্যটির বিধানসভা থাকবে কংগ্রেসের দখলে। কারণ, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী— হিমাচল বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীরা, আর বিজেপি প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ২৬টি আসনে।

ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরপরই হিমাচলের গভর্নরের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিজেপির জেষ্ঠ্য নেতা জয়রাম ঠাকুর।

সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দিতে এসে গভর্নরের কার্যালয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের রায় মেনে নিয়েছি। এ কারণেই এখানে আসা।’

এদিকে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে হিমাচল বিধানসভা জয়ের এই কৃতিত্ব দলের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী ও হিমাচল রাজ্য কংগ্রেসকে দিয়েছেন।

আর পৃথক এক টুইটবার্তায় হিমাচল রাজ্য কংগ্রেসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমি হিমাচলের জনগণ, আমাদের কর্মী ও নেতাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের ব্যাপক শ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল এই জয়।’

এসএমডব্লিউ