ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় অদূর ভবিষ্যতে আরও হামলা হবে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার জবাবেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানো হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে পুতিন বলেন, ‘প্রতিবেশী একটি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় হামলার জন্য চারদিকে প্রচুর হৈ চৈ শুরু হয়েছে। হ্যাঁ, আমরা হামলা করেছি। কিন্তু এটা কে শুরু করেছিল?

ক্রিমিয়া সেতুতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার জবাবেই রুশ বাহিনী এই হামলা চালিয়েছিল— উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘শুধু ক্রিমিয়া সেতুতেই হামলা নয়, ইউক্রেনীয় বাহিনী ক্রুস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা করে সেটি অকার্যকর করে দিয়েছে, দনেতস্কে পানির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।’

’লাখ লাখ মানুষ বসবাস করে— এমন একটি শহর বা প্রদেশে পানি সরবরাত বন্ধ করে দেওয়াকে কেবল গণহত্যার পরিকল্পনার সঙ্গেই তুলনা করা চলে। অথচ পশ্চিমা দেশগুলো এসব ঘটনার বিন্দু পরিমাণ উল্লেখ এখন পর্যন্ত কোথাও করেনি। সারাক্ষণ তারা কেবল রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে।’

গত অক্টোবরে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। সেসব হামলায় দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় পড়েন।

ইতোমধ্যে অবশ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো মেরামতের কাজ শুরু করেছে ইউক্রেনের সরকার; কিন্তু এখনও প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন ইউক্রেনে।

এসএমডব্লিউ