ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বহুল পরিচিত ফল হলো আনারস। এই ফলটি ভিটামিন সি ছাড়াও এন্টি অক্সিডেন্ট এবং মিনারেলে সমৃদ্ধ। শীতের সময় দারুণ উপকারী একটি ফল এটি। তবে জানেন কি পৃথিবীতে এমনও আনারস রয়েছে যেগুলোর দাম অনেক বেশি।

সেগুলোরই একটি হলো হ্যালিগান আনারস। ইউরোপের দেশ ইংল্যান্ডের এ আনারসের একেকটির দাম ১ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। বাংলাদেশি অর্থে যা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকারও বেশি। এগুলো উৎপাদন করে হ্যালিগান পাইনাপেল নামের একটি সংস্থা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আনারসটি উৎপাদন এবং এর পেছনে যে শ্রম দিতে হয় সেটি বিবেচনা করেই এটির এমন উচ্চমূল্য। তারা আরও জানিয়েছে, এ আনারস খাওয়ার উপযোগী হতে ২-৩ বছর সময় লাগে।

হ্যালিগান পাইনাপেল নামের সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আনারস যুক্তরাজ্যে প্রথম আনা হয় ১৮১৯ সালে। কিন্তু এ ফলটি উৎপাদনে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া উপযুক্ত না। কারণ ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় আনারস বেড়ে ওঠে না। এজন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন উদ্যানতত্ত্ববিদরা। সেই বিশেষ ব্যবস্থায় কাঠের তৈরি পাত্র তৈরি করা হয়। আনারস বেড়ে ওঠতে সেটির ভেতর দেওয়া হয় পচনশীল সার এবং হিটার। ওই হিটার পাত্রের ভেতরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখে।

হ্যালিগান পাইনাপেলের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘(যুক্তরাজ্যে) আনারস উৎপাদন অনেক শ্রমসাধ্য একটি কাজ। এর পেছনে যে সময় দিতে হয়, সারের মূল্য, পরিবহণ খরচ এবং অন্যান্য বিষয়সহ আমাদের একটি আনারস উৎপাদনে ১ হাজার পাউন্ডেরও বেশি খরচ হয়।’

আনারস বিষয়ক হ্যালিগান পাইনাপেলের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, তাদের বাগানে উৎপাদিত দ্বিতীয় আনারসটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। আনারস উৎপাদনে প্রায় ২০০ বছর আগের উপায়ই অবলম্বন করেন তারা।

এসব আনারস অবশ্য সাধারণভাবে বিক্রি করা হয় না। এর বদলে এগুলো নিলামে তোলা হয়্। সেখানে একেকটি আনারস প্রায় ১০ লাখ টাকায়ও বিক্রি হয়।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই