করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। একই কারণে ঘরবন্দি রয়েছেন সারা বিশ্বের লাখো ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। এরপরও হাওয়া বদলে কোথাও বেড়াতে গেলে করোনা সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানতে হয় দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন। তবে ঘরবন্দি থাকার এই ‘আবশ্যিক শাস্তির’ দিন বোধ হয় এবার ফুরালো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বিপুলসংখ্যক পর্যটক টানতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের দেশ থাইল্যান্ড। করোনার কারণে দেশটিতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন পালনের কঠোর নিয়ম রয়েছে।

তবে দেশটির নেওয়া নতুন উদ্যোগের কারণে এখন থেকে পর্যটকরা বাধ্যতামূলক এই কোয়ারেন্টাইন ছোট আকৃতির প্রমোদতরীতেই করতে পারবেন। আর এর মাধ্যমে ভ্রমণখাত থেকে পাঁচ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রাজস্ব আয়ের স্বপ্ন দেখছে দেশটির সরকার।

করোনা মহামারির কারণে থাইল্যান্ডের পর্যটনখাত বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া মহামারি সহসাই শেষ না হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এই খাত জাগিয়ে তুলতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

তবে পর্যটনখাত জাগিয়ে তুলতে এমন সিদ্ধান্ত দেশটি এবারই প্রথম নেয়নি। গত জানুয়ারিতেও পর্যটকদের জন্য গলফ কোর্সে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম রাখা হয়েছিল। পর্যটকরা যেন কোয়ারেন্টাইন পালনের সঙ্গে সঙ্গে গলফও খেলতে পারেন- সে লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির অর্থনীতি পর্যটনখাতের ওপরে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বাধ্য হয়ে গত বছর দেশে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাই সরকার। অবশ্য অর্থনীতি চাঙ্গা করতে দেশটি এখন পর্যটকবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৪১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৫ জন।

সূত্র: বিবিসি

টিএম