মধ্য-আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার কিনশাসা পুলিশের প্রধান সিলভানো কাসোঙ্গো বন্যায় এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিনশাসায় বন্যার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, শহরের আশপাশের এলাকা কাদা পানিতে প্লাবিত হয়েছে এবং রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে এসব ছবির সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মন্ট-এনগাফুলা জেলার প্রধান একটি মহাসড়কে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্তে বেশ কয়েকটি যানবাহন পড়ে গেছে। রেইনকোট পরা লোকজন খালের মধ্যে উঁকি দিয়ে গাড়ি দেখার চেষ্টা করছেন।

সিলভানো কাসোঙ্গো বলেছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। তবে এই সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত নয়।’

কিনশাসার গভর্নরের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রাদেশিক গভর্নর বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

একসময় কঙ্গো নদীর তীরে মাছ ধরার গ্রাম কিনশাসার হিসেবে পরিচিতি থাকলেও শহরটি এখন প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস। আর জনসংখ্যার আকার বিবেচনায় আফ্রিকার বৃহত্তম মেগাসিটিগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে কিনশাসা।

দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর দ্রুত নগরায়নের বিকাশ ঘটায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কিনশাসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশটিতে প্রায় ভারী বর্ষণ আর বন্যা দেখা যায়।

এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস