নিজ দলের এমপিদের চাপের মুখে চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ পান বরিস।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পরের তিন মাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র বক্তব্য দিয়ে ১২ লাখ ডলার সম্মানি পেয়েছেন বরিস। বাংলাদেশি মুদ্রার তুলনায় যা ১২ কোটি টাকারও বেশি।

যুক্তরাজ্যের সংসদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘সাংসদদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিবরণীর’ বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তারা।।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বক্তৃতায় পটু জনসন এই কয়েক মাসে নিউইয়র্কের ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্যুরেন্স কোম্পানির অনুষ্ঠানে, পর্তুগালে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের আয়োজিত একটি কনফারেন্সে এবং ভারতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

সংসদের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবার বক্তব্য দেওয়ার জন্য ২ লাখ ৬৭ হাজার ডলার থেকে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পর্যন্ত সম্মানি পেয়েছেন তিনি।

এদিকে ২০২০ সালে কঠোর করোনা লকডাউনের মধ্যে পার্টি করা সহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন। এসব বিষয় সামনে আসার পর নিজ দলের সদস্যরাই তার ওপর বিরক্ত হন। তারা তার পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকেন। এক সময় তার মন্ত্রীসভার সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা গণহারে পদত্যাগ শুরু করেন। এর জেরে চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও এখনো ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একজন সাধারণ সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বরিস।

সূত্র: এএফপি

এমটিআই